আয়শা ছিদ্দিকার স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার গল্প
২০১৬ সালে দুই শিশুকন্যা রেখে আয়শার স্বামী ফারুখ হোসেন যখন মারা যান, অকূল পাথারে পড়েন তিনি । পরের কয়েকটি বছর খুবই আর্থিক অনটনের মধ্যে দিনাতিপাত করেন। বাবা এবং ভাইদের সহযোগীতায় কোনক্রমে চলতে থাকেন।
দুই কন্যা সন্তানের জননী আয়শা ছিদ্দিকা ওয়াসেকপুর, সোনাইমুড়ী, নোয়াখালীর ব্রহ্মপুত্র তৃণমূল সংগঠনের মুস্তাহিক।
২০২০ সালে জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপন করার মাধ্যমে, গবেষনা ও ফিল্ড তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে জীবিকা প্রোগ্রামে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। সিজেডএম থেকে তহবিল পেয়েছেন ২০,০০০ টাকা। পাশাপাশি মুস্তাহিকের বসবাস করার জন্য ঘর ছিলনা, তাই তাকে শান্তা প্রকল্পের আওতায় পাকা ঘর নির্মান করে দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য সহযোগিতা পাওয়ার মাধ্যমে তার চিকিৎসা ব্যয় কমে গেছে। সিজিডএম হতে প্রাপ্ত তহবিল পেয়ে সঠিক আয়বর্ধক কর্মসূচি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এবং আয়বর্ধক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে পরিবারের আয় বৃদ্ধি করেছেন। ব্যক্তিগত সঞ্চয় করেছেন—৪১৮৩৪ টাকা। ফলে এখন তার জিআরও তহবিলে মোট মূলধন হয়েছে= ৭৫,৫০০ টাকা।
সিজেডএম থেকে গত জুলাই ২০২৪ মাসে জীবিকা প্রোগ্রাম থেকে তাকে তহবিল, শিক্ষা, চিকিৎসা, ফলজ, বনজ গাছের চারা, স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট, শীতবস্ত্র, কারীগরি প্রশিক্ষণ, পুষ্টি বাগানের জন্য সবজি বীজ, আইজিএ বাস্তবায়নের জন্য প্রশিক্ষণ এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ।
তিনি মোট বিনিয়োগ নিয়েছেন ১৬ বারে ২,৪০,৫০০ টাকা। এর মধ্যে ৮বার কাপড়ের ব্যবসায়, ৬ বার হাঁস—মুরগী পালনে, ১ বার নার্সারিতে এবং ১ বার দর্জি কাজের উপরে বিনিয়োগ গ্রহন করেন। নার্সারী করতে সহায়তা পেয়েছেন ১৩,৬৬৬ টাকা । উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ পাওয়ার পরে বর্তমানে মুস্তাহিকের আয় বেড়েছে। কর্মমুখী পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে আয়শা একজন সফল উদ্যোক্তা। তার নিজ বাড়ীতে বিউটিপার্লার ,তিনটি সেলাইমেশিন, দেশী হাঁসমুরগীর খামার, পারিবারিক পুষ্টি বাগান আছে। সবজি চাষের মধ্যে লাউ,শিম,করলা, বরবটি, বেগুন,মিষ্টি কুমড়াসহ মৌসুমী ভিক্তিক চাষাবাদ করেন। বর্তমানে ব্যবসায় বিনিয়োগ আছে— ১,০৫,০০০ টাকা। মাসিক আয়— ১২,০০০ টাকা।
তার সফলতার ধারাবাহিকতার নিম্নোক্ত কারণগুলো পাওয়া গিয়েছেঃ
- সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য, সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা, কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলার সক্ষমতা, দূর—দর্শিতা সম্পন্ন চিন্তাভাবনা, বিচক্ষণতা, কঠোর পরিশ্রমী, সময়ের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা।
- বহুমুখী আয়ের উৎস সৃষ্টি করা, সমসাময়িক বিষয়ে দ্রুত সঠিক সিধান্ত গ্রহন।
- তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান লাভ।
- আয়—ব্যয়ের সঠিক হিসাব রাখা।
আয়শা সিদ্দিকার ভবিষ্যত স্বপ্ন হল তিনি আরো উন্নতমানের বিউটিপার্লার এবং একটি টেইলারিং এর দোকান দিবেন। নিজ কন্যাদের সুপাত্রের হাতে দিয়ে নিশ্চিন্ত হবেন । স্বাবলম্বী হয়ে বাকি জীবন স্বাচ্ছন্দ্যে কাটানো।

ওয়ার্ল্ড ম্যাথমেটিক্স টীম চ্যাম্পিয়নশীপে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে সিজেডএম পরিচালিত আরএসএফ গ্রানাডা একাডেমীর ছাত্র ফাহিম
সিজেডএম-পরিচালিত গুলবাগিচা প্রোগ্রামের আওতাধীন আরএসএফ গ্রানাডা একাডেমি (বগুড়া)-এর দশম শ্রেণির ছাত্র মোঃ ফাহিম ২০২৪ সালের ২৯-৩০ নভেম্বর কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ম্যাথেমেটিক্স টিম চ্যাম্পিয়নশিপ (WMTC) -এ বাংলাদেশ গণিত দলের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছে।
এটি একটি মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা যেখানে ফাহিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিযোগিতা করে তার অসাধারণ গাণিতিক দক্ষতা প্রদর্শন করেছে।
আলহামদুলিল্লাহ।
বাংলার ম্যাথ এবং রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সবসময়কার সহায়তা দিয়েছেন আহমেদ শাহরিয়ার ।

জান্নাতুল রিয়ার স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার গল্প
বরিশালের ১ নং রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের বিমান বন্দর থানা। গ্রামের নাম ধমার্দী। এই গ্রামের বোন জান্নাতুল রিয়া ফুলকলি তৃণমূল সংগঠনের মুস্তাহিক। স্বামী আনোয়ার হোসেন ও ১ ছেলে নিয়ে সুখের সংসার। মাত্র চার বছর আগেও এমন সুখ ছিল না পরিবারে। সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট পরিচালিত জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্র বরিশাল—২ আসার সময় তাদের কোন স্থায়ী কর্মসংস্থান ছিল না। তার স্বামীর পেশা দিনমজুর । স্বামীর একমাত্র দিন মজুরির কাজ করে কোন রকমে সংসার চালাতেন, কোন দিন কাজ পেতেন কোন দিন কাজ পেতেন না । অভাব-অনটন ও জীবিকা নির্বাহ নিয়ে জীবন ছিল কঠিন সংগ্রামের।
২০২১ সালে জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপন করার মাধ্যমে, গবেষনা ও ফিল্ড তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে জীবিকা প্রোগ্রামে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
জীবিকা প্রোগ্রাম থেকে তাকে তহবিল, শিক্ষা, চিকিৎসা,শীতবস্ত্র, পুষ্টি বাগানের জন্য সবজি বীজ, আইজিএ বাস্তবায়নের জন্য প্রশিক্ষণ এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ পেয়েছেন । সিজিডএম হতে প্রাপ্ত তহবিল পেয়ে সঠিক আইজিএ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এবং আইজিএ বাস্তবায়ন করে পরিবারের আয় বৃদ্ধি করেছেন। তিনি মোট বিনিয়োগ নিয়েছেন ৮ বারে ১০২০০০ টাকা। এর মধ্যে প্রথম বার সেলাই মেশিন ক্রয়, ৭ বার মুদি পন্য ব্যাবসায় বিনিয়োগ গ্রহন করেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য সহযোগিতা পাওয়ার মাধ্যমে তার চিকিৎসা ব্যয় কমে গেছে।
উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ পাওয়ার পরে বর্তমানে মুস্তাহিকের আয় বেড়েছে। কর্মমুখী পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে জান্নাতুল রিয়া একজন সফল উদ্যোক্তা। সিজেডএম থেকে গত ৮ জানুয়ারী ২০২৫ মাসে উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছেন। টেইলারিং, হাঁস, মুরগী পালন করেন । এছাড়াও তিনি নিজের বাড়িতে মুদি মালামাল বিক্রয় করেন। মুদি দোকানের নাম সামী স্টোর।
তার নিজ বাড়ীতে মুদি দোকান ,১ টি সেলাইমেশিন, দেশী হাঁসমুরগীর খামার, পারিবারিক পুষ্টি বাগান আছে। সিজেডএম থেকে তহবিল পেয়েছেন ২০,০০০ টাকা, ব্যক্তিগত সঞ্চয় করেছেন—২১৮০০ টাকা। সুতরাং তার জিআরও তহবিলে মোট মূলধন হয়েছে= ৪১৮০০ টাকা। বর্তমানে ব্যবসায় ইনভেস্ট আছে— ৩,০৫,০০০ টাকা। মাসিক আয়— ২১,০০০ টাকা।
জান্নাতুল রিয়া ভবিষ্যত স্বপ্ন হল তিনি আরো উন্নতমানের মুদি দোকান দিবেন। ছেলেকে সু শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন । স্বাবলম্বী হয়ে বাকি জীবন স্বাচ্ছন্দ্যে কাটানো।
সফলতার এই ধারাবাহিকতা তিনি বজায় রাখতে পেরেছিলেন সিজেডএম-এর জীবিকা কর্মসূচির মাধ্যমে পাওয়া দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি সিজেডএম-এর জিআরও-কর্তৃক প্রদত্ত নিম্নোক্ত সফট-স্কিলগুলির যথাযথ প্রয়োগের কারণেঃ
- সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য, সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা, কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলার সক্ষমতা, দূর—দর্শিতা সম্পন্ন চিন্তাভাবনা, বিচক্ষণতা, কঠোর পরিশ্রমী, সময়ের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা।
- বহুমুখী আয়ের উৎস সৃষ্টি করা, সমসাময়িক বিষয়ে দ্রুত সঠিক সিধান্ত গ্রহন।
- তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান লাভ।
- আয়—ব্যয়ের সঠিক হিসাব রাখা।
তথ্য সংগ্রহকারী:
মোঃ সফিকুল ইসলাম (পিএম), জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্র, বরিশাল—২, রায়পাশা কড়াপুর,সদর বরিশাল, সিজেডএম

'ক্রিটিকাল থিংকিং' এবং 'কুইজ' বিভাগে দুটি প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছে সিজেডএম পরিচালিত দ্যা গ্রানাডা একাডেমী
সিজেডএম-পরিচালিত গুলবাগিচা প্রোগ্রামের আওতাধীন দ্যা গ্রানাডা একাডেমি (টিজিএ) স্কুলের শিক্ষার্থীরা গত ১ নভেম্বর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত SQC আয়োজিত প্রতিযোগিতায় 'ক্রিটিকাল থিংকিং' প্রেজেন্টেশন এবং 'কুইজ' বিভাগে দুটি প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছে। আলহামদুলিল্লাহ।

এবারে নরসংদী ও সাতক্ষীরায় ১৬টি পরিবারকে নতুন ঘর নির্মাণ করে দিলো সিজেডএম
মানুষের মাথার ওপর যদি না থাকে কোনো নিরাপদ মাথা গোজার ঠাই আর পায়ের নীচে না থাকে মজবুত মাটি, না থাকে একটি ঘর, তাহলে জীবনটা কেমন হয়? সেই সাথে মৌসুমী ঝড়ের তান্ডব, ভারী বর্ষণ, খরা, জরাজীর্ণ টিনের চালে ফুটো দিয়ে পড়ে বৃষ্টির পানি, ভাংগা বেড়ার ঘর দিয়ে ঢুকে পড়ে হু হু করা শীত, প্রবল প্লাবনে ডুবে যায়, ভেসে যায় ভিটেমাটি, ভাংগা ঘরে ঢুকে পড়ে সাপ-জোঁক! সাথে আছে অন্ন-বস্ত্র-চিকিৎসা, রুজি-রোজগারের অভাবে দিশেহারা দশদিক! একেক মৌসুমে একেক রকম আয়-উপার্জনের ধান্দায় না দিনাতিপাতে স্বস্তি, না জীবনযাপনে স্বাচ্ছন্দ্য!
ভৌগোলিক দিক দিয়ে দেশের মধ্যভাগে অবস্থিত রাজধানী ঢাকার পাশের জেলা নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ডাংগা ইউনিয়ন। যার একদিকে আছে প্রতিবেশী জেলা নারায়ণগঞ্জ এবং অপর দিকে গাজীপুরের শীতলক্ষ্যা নদী। এখানে ৩০০টি পরিবারের মধ্যে বেশীর ভাগ পরিবারের প্রধান আয় কল কারখানায় কাজ। এছাড়া কিছু কিছু লোক অটো—রিকশা চালিয়ে জীবিকা নিবার্হ করে থাকে। সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) একটি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এখানে ২০মাস যাবৎ কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এই প্রজেক্টের ০৫ টি পরিবারের জরাজীর্ণ ভাংগা ঘর প্রতিস্থাপন করে নতুন ঘর ্নির্মাণ করে দিয়েছে । ভৌগোলিক দিক দিয়ে দেশের মধ্যভাগে অবস্থিত রাজধানী ঢাকার পাশের জেলা নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ডাংগা ইউনিয়ন। যার একদিকে আছে প্রতিবেশী জেলা নারায়ণগঞ্জ এবং অপর দিকে গাজীপুরের শীতলক্ষ্যা নদী। এখানে ৩০০টি পরিবারের মধ্যে বেশীর ভাগ পরিবারের প্রধান আয় কল কারখানায় কাজ। এছাড়া কিছু কিছু লোক অটো—রিকশা চালিয়ে জীবিকা নিবার্হ করে থাকে। সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এখানে ২০মাস যাবৎ কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি সিজেডএম তাদের নরসিংদী প্রজেক্টের ০৫ টি পরিবারের জরাজীর্ণ ভাংগা ঘর প্রতিস্থাপন করে সেমিপাকা নতুন ঘর ্নির্মাণ করে দিয়েছে ।
নতুন ঘর পেয়েছেন সন্তানপাড়া ও খিলপাড়া গ্রামের সুমাইয়া আক্তার, রোজিনা আক্তার, জায়েদা আক্তার, সাথী আক্তার ও নাসিমা খাতুন।
অন্যদিকে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় নুরনগর ইউনিয়ন । কালিন্দী নদী আআর ভারতের স্থলসীমা দিয়ে ঘেরাও একটি স্থান। এখানে ৩০০টি পরিবারের মধ্যে বেশীর ভাগ পরিবারের প্রধান আয় মৎস চাষ। এছাড়া কিছু কিছু লোক নদীতে মাছের রেনু শিকার করে জীবিকা নিবার্হ করে থাকে। সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট সাম্প্রতিক আকস্মিক দারিদ্র্যপীড়িত ও ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি পরিবারের জন্য সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়।
নতুন ঘর পেয়েছেন দাসকাটি, মুরালকাটি, পরাপুর নেবুখালী গ্রামের মোসাঃ জাহানারা বেগম, মোসাঃ রোকসানা বেগম, মোসাঃ সকিনা বেগম, মোসাঃ রাবেয়া বেগম, মোসাঃ রেশমা খাতুন, মোসাঃ মাহফুজা, মোসাঃ ফাতেমা খাতুন, মোসাঃ আয়শা বিবি, মোসাঃ ঝরনা বেগম, মোসাঃ সাহানারা খাতুন ও মোসাঃ খাদিজা বেগম।
এদের মধ্যে কেউ স্বামী-সন্তানসহ পরের বাড়িতে কুড়েঘরে আশ্রিতা হয়ে থেকেছেন, কারো বা স্বামী নেই, বিধবা বা স্বামী-পরিত্যক্ত, কেউ বা শারীরিক প্রতিবন্ধী। কারো কন্যা সন্তানের বিয়ে হচ্ছিল না ঘরের অভাবে। ঘর পেয়ে তারা সবাই বেজায় খুশি। আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া জানিয়েছেন তারা নিজেদের এতো বড় এক অভাব দূর করে দেয়ার জন্য। মাথার ওপর থেকে যেন ভারী বোঝা নেমে গেল। সেইসাথে সিজেডএম-এর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও দোয়া জানিয়েছেন তারা। প্রত্যেক ভালো কাজে আল্লাহ রাব্বুল 'আলামীন মুসলিমদেরকে বারাকাহ দিন, তাদের সব ভালো কাজকে কবুল করে নিন ও আল্লাহর সন্তুষ্টিমাফিক সেই কাজ সঠিকভাবে এবং আরো অধিক পরিসরে আঞ্জাম দেয়ার তৌফিক দিন।
এখানে পুরনো ও রোজিনা বেগমের ঘরটি দেখানো হচ্ছে।
